ইসলামি ধর্মতত্ত্ব দাবি করে, পৃথিবীতে প্রথম মাটি বা ভূমি সৃষ্টি হয় পশ্চিম এশিয়ার মরুদেশ সৌদি আরবের ‘বাক্কা’ নামক স্থানে; এবং সেই প্রথম মাটির ওপর প্রথম যে ঘর নির্মিত হয় সেটিই আল্লাহর ঘর বলে কথিত ‘বাইতুল্লাহ’ বা কাবা শরীফ। বাক্কা হলো মক্কা নগরীর প্রাচীন নাম। এই নগরীতেই ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ।
মক্কা নগরীতে সর্বপ্রথম কে কাবাঘর নির্মাণ করেন?—এ বিষয়ে খোদ্ ইসলামের মধ্যেই রয়েছে একাধিক মতভেদ। ইসলামের কোনো সূত্র বলছে, জনহীন মরুপ্রান্তরের বুকে এটি সর্বপ্রথম নির্মাণ করেন মুসলমানদের জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)। আবার কোথাও দাবি করা হয়েছে, এটি প্রথম নির্মাণ করেন মানব জাতির আদি পুরুষ হজরত আদম (আ.)। আবার অন্যত্র দাবি করা হয়েছে, আদম (আ.) এর পৃথিবীতে আগমনের ২০০০ বছর আগে এটি সর্বপ্রথম নির্মাণ করেন আল্লাহর একদল ফেরেস্তা।
প্রথম নির্মাণ যার হাতেই হোক না কেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে—বহু পরিবর্তন ও বিবর্তনের পর কাবাঘরটি তার আজকের রূপ পেয়েছে। বর্তমানে মার্বেল পাথরের ভিতের ওপর গ্রানাইট পাথরে তৈরি ৪৩ ফুট উচ্চতার ঘনকআকৃতির এই কালো গিলাফে আচ্ছাদিত বাড়িটি মুসলমানদের ‘কিবলা’। পৃথিবীর সকল প্রান্তের মুসলমান এর দিকে মুখ করেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। হজ এবং ওমরাহ করতে গিয়ে একে প্রদক্ষিণ করে সকল হাজিরা। এখানে রক্তপাত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ বা হারাম বলে অনেকে একে ডাকে হারামাইন শরিফ বা মসজিদুল হারাম নামে। হারাম শব্দের অন্য একটি অর্থ হলো পবিত্র। সে অর্থে মসজিদুল হারাম মানে পবিত্র প্রার্থনালয়। এ স্থানটিকে ঘিরে মুসলমানদের আবেগ ও ভালোবাসার শেষ নেই। বিশ্বাসী মুসলমান একে আল্লাহর রহমতমণ্ডিত দুনিয়ার সর্বাপেক্ষা পবিত্রস্থান মনে করে।
কা’বা সম্পর্কে ইসলামের প্রধানধর্মগ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে :
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ
“নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা বাক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়।”
—সুরা: আল ইমরান, আয়াত: ৯৬
মুসলমানদের ধারণা এই ‘মহাপবিত্র’ স্থানটির নিরাপত্তা প্রদান করেন বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং আল্লাহ। এই ধারণার সমর্থনে কোরআনের একাধিক আয়াত রয়েছে। সুরা তিন-এর তৃতীয় আয়াতে মক্কাকে “নিরাপদ নগরী” ঘোষণা করেছেন মুসলমানদের আরাধ্য প্রভু। কিন্তু বড়ই আফসোস এবং পরিহাসের বিষয় হলো কথিত এই “নিরাপদ নগরী” বাস্তবে একটি ভয়ংকর মৃত্যু-উপত্যকা। ইতিহাস থেকে বারবার প্রমাণিত হয়েছে, এখানে প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট এমন কোনো দুর্ঘটনা নেই, যা ঘটে নি। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে কাবাঘর রঞ্জিত হয়েছে মানুষের লাল রক্তে। ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, বজ্রপাত, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, মহামারি, শত্রুর আক্রমণ, অগ্নিকাণ্ড—এমন কোনো দুর্যোগ-দুর্ঘটনা নেই যা পুরো মক্কা শহর তো পরের কথা, খোদ্ কাবা ঘরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে নি। এমন কী কখনো পুরোপুরি ধ্বংস করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। মারাত্মক ধ্বংসপ্রাপ্তির পর বিভিন্ন যুগের আরবশাসকদের কাবাকে অসংখ্যবার পুনর্নির্মাণ করতে হয়েছে।
হজব্রত পালন করতে গিয়ে অনেক হাজি আবেগাপ্লুত চোখে কাবাঘরের দিকে তাকিয়ে থেকে কত কী-যে ভাবেন। এই কাবা তাওয়াফ করেছেন স্বয়ং আমার নবী মুহাম্মদ, এই কাবা তাওয়াফ করেছেন হজরত আবু বকর সিদ্দিক, হজরত ওমর ফারুক, হজরত উসমান গনি, হজরত আলী রাদিআল্লাহুতালা আনহু-সহ বিখ্যাত কত সাহাবি!
অথচ শুভঙ্করের ফাঁকি হলো বর্তমান কাবাঘরটি মুহাম্মদের আমলের সেই কাবাঘর নয়। মুহাম্মদের আমলের কাবা ঘরের একটি ভগ্নাংশও বর্তমান কাবা ঘরে উপস্থিত নেই। এই কাবা অরিজিনাল কাবার একটা রেপ্লিকা মাত্র। বড়জোর একে “নকল কাবা” বলা যায়। মুহাম্মদ-আমলের আসল কাবা বহু আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।
আসুন জেনে নেয়া যাক মুসলমানদের কথিত “আল্লাহর ঘর” কাবাধ্বংসের কিছু লোমহর্ষক ইতিহাস।
সময়টা ৬৮৩ খ্রিষ্টাব্দ। মুসলিম বিশ্বের ক্ষমতাকেন্দ্রিক সংঘাতের রাজনীতিতে খুব তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর। ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর মক্কা প্রথম অবরোধের মুখোমুখি হয় এই বছরে। হজরত মুয়াবিয়া (রা.) এর মৃত্যুর পর তার ছেলে ইয়াজিদ আমিরুল মুমিনিন হিসেবে মুসলিম বিশ্বের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। সিরায়ার দামেস্ক ছিল তার রাজধানী। কিন্তু তাকে খলিফা হিসেবে মেনে নেয় নি ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর মক্কা এবং মদিনার শাসনকর্তারা। উমাইয়া বংশের শাসক ইয়াজিদ এর সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়ান মক্কার শাসককর্তা আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের। খেলাফত নিয়ে মুসলমানদের এই অন্তঃকোন্দলের প্রেক্ষাপটে ৬৪ হিজরির ২৭ মহররম হাসিন বিন নুমাইরের নেতৃত্বে মক্কা অবরোধ করে উমাইয়া সেনারা। সিরিয়ার হেমস শহরের অধিবাসী হাসিন বিন নুমাইর ছিল কারবালায় ইয়াজিদ বাহিনীর তিরন্দাজ সেনাদলের প্রধান। মাত্র ৩ বছর আগে ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে কারবালা প্রান্তরে মুহাম্মদের নাতি ইমাম হোসাইন হত্যাকাণ্ডে এই হাসিন বিন নুমাইরের কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
হাসিন বিন নুমাইরের আক্রমণে মক্কা পর্যুদস্ত হয়। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে করে কোনঠাসা আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বাহিনী আশ্রয় নেয় খানেকাবা চত্ত্বরে। কিন্তু নুমাইরের সেনারা কাবাকেও এতটুকু ছাড় দেয় নি। তারা কাবা শরীফে জ্বলন্ত ন্যাপথালিনযুক্ত অগ্নি-গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। বহু মানুষ এতে হতাহত হয় আর আগুন লেগে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় ‘পবিত্র’ এবং ‘নিরাপদ’ বলে কথিত মুসলমানদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কেন্দ্র কাবাগৃহ।
কাবা আক্রমণের আগে উমাইয়া সেনারা মদিনা আক্রমণ এবং মদিনাকে পরাজিত করে। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, যারা আক্রমণ করেছিল তারাও মুসলমান এবং যারা আক্রান্ত হয়েছিল তারাও মুসলমান। আত্মঘাতী এই লড়াইয়ে যারা ধর্ষিতা হয়েছে তারা মুসলিম নারী, যারা ধর্ষক তারাও মুসলিম! কোনো ইহুদি-খ্রিষ্টান নয়।
সুরা ফিল-এ কোরআনের প্রধান চরিত্র আল্লাহ নামের মুসলিমদের প্রভু আবাবিল পাখি পাঠিয়ে আবরাহ বাদশার হাত থেকে কাবাঘরকে রক্ষার লোককাহিনি বেশ দম্ভভরে বর্ণনা করেছেন। কাবাকে তিনি ইয়েমেনী হস্তিবাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন বলে দাবি করে বসেছেন। অথচ মজার বিষয় হলো, সে ঘটনাটির সময়কাল ইসলাম-উত্থানের ৪০ বছর আগের ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের, যখন কাবা ছিল দেবদেবীর মূর্তিসমৃদ্ধ আরব পূজারীদের মন্দির। অসংখ্য মূর্তি দ্বারা সজ্জিত কাবামন্দিরকে রক্ষার জন্য আল্লাহ আবাবিল পাখি পাঠালেন অথচ ইসলাম আগমনের পর কাবা যখন মূর্তিমুক্ত হলো, সেখানে যখন নবীর সাহাবিরা নামাজ আদায় করতো তখন কাবার উপর একাধিকবার ভয়ংকর আক্রমণ সংঘটিত হয় এবং কাবা অপমানজনকভাবে শত্রুর হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, জ্বলন্ত কাবাশরীফ রক্ষা করতে, কই, কোনো আবাবিল পাখির লেজটিও তখন দেখা গেলো না।
বলা হয়ে থাকে—রোম যখন পুড়ছিল নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। হাসিন বিন নুমাইর কর্তৃক কাবা যখন ভস্মীভূত হচ্ছিল, মুসলমানদের দরদী প্রভু আল্লাহ তখন কী করছিল? কাবাকে তিনি কেন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করলেন না? নাকি কাবা ধ্বংস হোক বা আস্ত থাকুক—তাতে বিশ্বপ্রকৃতির কিছুই যায়-আসে না?
কোরান যদি আল্লাহর বাণী হত তবে এর প্রতিটি বাক্য সত্য বলে প্রমাণিত হত। প্রতিটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হত। অথচ কোরানে উল্লিখিত “নিরাপদ নগরী” মক্কা এতবার ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে যে পরবর্তীকালের করুণ ইতিহাস কোরানের বক্তব্যকে যেন ঠাট্টা করেছে।
যা হোক। খলিফা ইয়াজিদের মৃত্যু সংবাদ শুনে হাসিন বিন নুমাইর মক্কাঅবরোধ স্থগিত রেখে সিরিয়া ফিরে যান। নুমাইরের কাছ থেকে সাময়িক নিষ্কৃতি পেয়ে ব্যাপকভাবে পুড়ে যাওয়া কাবা তখন পুনর্নির্মাণে হাত দেন আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের।
হাজরে আসওয়াদ পাথর ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছিল নুমাইরের আক্রমণে। ভাঙা টুকরো জোরা লাগিয়ে রূপার ফ্রেমে বাঁধাই করা হয়। জুবায়ের ক্ষতিগ্রস্ত কাবা পুরোটা ভেঙে নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন। প্রথমে কোনো শ্রমিক এগিয়ে আসছিল না এই ভয়ে যে, যে কাবা ভাঙতে এগিয়ে যাবে তার উপর আসমানি গজব পড়বে। একজন সাহস করে প্রথম পাথরটি ছুড়ে মারল। কিন্তু তার উপর কোনো গজব আসল না। এটা দেখে বাকিরা সাহস পেয়ে ভাঙা শুরু করল। একদম পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবার পর আবার গোড়া থেকে বানানো শুরু হলো পবিত্রস্থান বলে কথিত কাবা নামের অভিশপ্ত এ ভবনটি।
কিন্তু কাবার কপাল পুড়লো আবারও। ঠিক ৯ বছরের মাথায় পুনর্নির্মিত কাবাঘরের উপর আবার নেমে আসে উমাইয়া খলিফাদের মানবরচিত গজব। আবারও কাবাঘর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এবার ধ্বংস করেন উমাইয়া সেনাপতি হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। কাবা হয়ে ওঠে উমাইয়াদের ছেলেখেলার সামগ্রীর মতো। যেন যতবার খুশি কাবায় আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করা যায়, কেটাপুল্ট দিয়ে পাথর মেরে গুড়িয়ে দেয়া যায়। সমুদ্রসৈকতে বালুর ঘর বানানোর মতই কাবা হয়ে পড়ে উমাইয়া শাসকদের খেল-তামাশার বস্তুতে।
ইয়াজিদ গত হওয়ার পর ৬৯২ সালে মক্কা আবারও অবরোধের মুখে পড়ে। নতুন উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান তার সেনাপতি হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে বড় আকারের সেনাদলসহ মক্কায় প্রেরণ করেন। উমাইয়া খিলাফতের প্রতি বিদ্রোহী আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে চূড়ান্তভাবে দমন করা ছিল সেনা পাঠানোর উদ্দেশ্য। এবারের অবরোধ ছিল পূর্বের চেয়েও ভয়াবহ; প্রায় ছয় মাস স্থায়ী। অবরোধকারীরা মক্কায় খাবার সরবরাহের সকল রুট বন্ধ করে দেয়, ফলে খাদ্য সংকটে প্রায় দুর্ভিক্ষ লেগে গিয়েছিল। অবরোধের শেষ পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
মক্কা শহরকে লক্ষ করে কেটাপুল্ট ব্যবহার করে নিকটবর্তী আবু কুবেজের পাহাড় থেকে অবিরাম গোলাবর্ষণ করে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের বাহিনি। অগ্নিগোলা ও পাথরের বিরতিহীন বর্ষণে কাবাঘরের দেয়াল ভেঙে ধূলিসাৎ হয়ে যায়। কাবাঘর রক্ষায় বীরদর্পে লড়ে যাওয়া হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) এর আপন নাতি মক্কার শাসনকর্তা আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) শেষপর্যন্ত নির্মমভাবে পরাজিত হন। উল্লেখ্য এই আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ছিলেন মুহাম্মদের হিজরতের পর মদিনায় জন্ম নেয়া প্রথম মুসলিম শিশু। তার জন্মে বেশ আনন্দোৎসব হয়েছিল মদিনায়। হজরত মুহাম্মদ নিজেই তার নামকরণ করেছিলেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নির্দেশে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের শিরশ্ছেদ করা হয়। তার ছিন্ন মস্তক খলিফা আবদুল মালিকের নিকট প্রেরণ করা হয়। বাকি শরীরকে ক্রুশবিদ্ধ করে কাবা-চত্ত্বরে জনসমক্ষে বহুদিন প্রদর্শন করা হয় উমাইয়াদের বিজয়ের স্মারকচিহ্ন হিসেবে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সাহাবী-হত্যা কিংবা কাবা-ধ্বংসের অভিযানে কোনো প্রকার ‘আসমানী বাধা’র সম্মুখীন হন নি। বরং হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নাম পরবর্তীকালে আরো স্বর্ণখচিত হয়; কারণ তার নির্দেশেই সিন্ধু বিজয় সম্পন্ন করে মুসলমানরা। আজ যে অনারব মুসলমান সহজেই কোরআন পাঠ করতে পারে তাও হাজ্জাজ বিন ইউসুফের অবদান। কুরআন মাজিদে নুকতা সংযোজন করে অ-আরবিভাষীদের জন্য তিনি সহজে কুরআন পাঠের বন্দোবস্ত করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
আবদুল্লাহ আল তারেক
১৫ জানুয়ারি ২০২১