ধরুন, আপনার জীবনে প্রথম আপনি স্কুলে ক্লাসে গেলেন। সবাই অপরিচিত। ঠিক তখনই একজন ছাত্র আপনাকে এসে বললো যে এই স্কুলে এবং ক্লাসে শুধু আমিই ভাল, বাকি সবাই খারাপ। আরো বললো যে আমি ছাড়া এই ক্লাসে আর কারো সাথে তুমি মিশতে পারবে না এবং মিশতে দিচ্ছে না। সবসময় অন্যের বদনাম করছে এবং নিজের সুনাম করছে। পাশাপাশি তার অন্ধভক্ত বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনদের সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে যারা একই কথা আপনাকে শুনিয়ে থাকে। আপনি তাকে ভালোভাবে জানার পূর্বেই আপনার স্বীকারোক্তি নিয়ে নেয় যে আপনি তাকে এবং তার সমস্ত কথা বিশ্বাস করবেন, অন্য কাউকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
কোন ঘটনা বা বিষয় নিজের পক্ষে সামান্য মিলে গেলেই সেটাকে আরো বানিয়ে আপনার কাছে তুলে ধরে কিন্তু অন্যের পক্ষে আরো বেশি বা পুরোপুরি মিলে গেলেও সেটা আপনার কাছে গোপন রাখে। অন্যের বিভিন্ন দূর্বলতা তুলে এবং হাসাহাসি করে, অথচ একই দূর্বলতা তার নিজের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও সে আপনাকে তা কখনো ভাবতেই দেয় না। আবার আপনাকে বলে যে তুমি যদি আমাকে অবিশ্বাস করো বা অন্য কাউকে বিশ্বাস করো তবে তোমাকে হত্যা করা হবে।
আপনি কি ওই ছাত্রের দাবি মানবেন? অথবা ন্যায়বিচারক বা বিচক্ষণ লোক কি তা মেনে নিবে?
এরপর যদি আপনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, ” শুধু তুমিই যে সঠিক আর বাকিরা ভুল তার প্রমাণ কি? ”
তখন সে রেগে গিয়ে আপনাকে এধরণের প্রশ্ন করতে নিষেধ করে এবং বলে যে এমন প্রশ্ন করা শয়তানের কাজ।
আপনি মানবেন?
তবুও যখন আপনার সত্যান্বেষী মন মানে না, তখন আপনি আবারো প্রশ্ন করতে থাকেন। তখন তার অন্ধভক্তরা বলে,” সে যে একমাত্র সঠিক তা অমুক ঐশ্বরিক গ্রন্থে লিখা আছে।”
ওটা যে ঐশ্বরিক গ্রন্থ বা ইশ্বরের বাণী তার প্রমাণ? কোন মানুষ বা একদল মানুষ লিখেও তো ইশ্বরের নামে চালিয়ে দিতে পারে। নিজের কল্পনা এবং স্বপ্নকেও তো ইশ্বরের বাণী বলে লিপিবদ্ধ করতে বা করাতে পারে, তাই না? এটাতো চক্রাকার কুযুক্তি। একই কুযুক্তি অন্যকেউ যদি তার বেলায় দেয় তবে মানবেন?
তারপর একজন বললো, “আমাদেরটা যদি ঐশ্বরিক গ্রন্থ না হতো তবে এটাতে ভুল থাকতো।” এরপর যখন আপনি ভুল বের করে দেন, তখন তারা বিভিন্ন অজুহাত এবং কুযুক্তির আশ্রয় নিয়ে সেটাকে সঠিক করে দেয়।
এবার তখন আপনি বলেন যে একই দাবি যদি অন্যরাও তাদের গ্রন্থের বেলায় করে এবং ভুল বের করে দেয়ার পর তারা যদি একই অজুহাত এবং কুযুক্তির আশ্রয় নিয়ে সেটাকে সঠিক করে এবং বৈজ্ঞানিক মিল খুঁজে পায় তবে সেটাকে ঐশ্বরিক গ্রন্থ মানবেন?
এবার একটু বাস্তবতায় আসুন এবং বাস্তবতার সাথে মিলান।
জন্মের পর থেকেই আমাদের বলা হয় যে শুধুমাত্র পারিবারিক ধর্মটিই সঠিক, বাকিগুলো ভুয়া বলে বিশ্বাস করানো হয় এবং বাকি ধর্মগুলোর সাথে মিশতে বা সঠিকভাবে জানতে দেয়া হয় না। এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্তও অপেক্ষা করা হয় না। একটি অবুঝ শিশুকে এভাবে ধর্মান্তরিত করা এবং অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন। কারণ, একটি শিশুর যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা নেই। তাকে যেটা বলা হবে সেটাই সে বিশ্বাস করবে এবং তা বদ্ধমূল হবে। ফলে পরবর্তীতে তার পক্ষে সেটা থেকে বের হওয়া কঠিন হবে এটাই স্বাভাবিক।
আমি আমার ধর্মের কথাই বলি, শৈশবেই আমাদের কালিমা পড়িয়ে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ানোর মাধ্যমে মুসলিম বানানো এবং জোরপূর্বক লিঙ্গের চামড়া কাটা হয়। মাতৃভাষার অনুকূল শব্দ শেখার পূর্বেই আল্লাহ শব্দটি জোরপূর্বক শেখানো হয়। আরো অমানবিক ব্যাপার হলো ১০ বছর বয়সে নামাজ না পড়লে ইসলাম মারার নির্দেশ দেয়। [১] শৈশব থেকেই বলা হয় যে ইসলাম একমাত্র সত্যি, বাকিসব ভুয়া এবং বাকিসব ধর্মের মানুষ সারাজীবন ভালো কাজ করলেও অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। তারা পশুর চেয়েও অধম। [২]
ইসলামকে ভালোভাবে জেনে যাচাই করার পূর্বেই আমাদের মুসলিম বানানো হয় এবং বাকিধর্মগুলো যে যাচাই করবো সেই সুযোগও দেয়া হয় না, এমনকি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর যে বাকিধর্মগুলো যাচাই করবো সেই সুযোগও ইসলাম দেয় না। [৩] আবার, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যদি নিজধর্ম ভুল মনে হয় তবে সেটাকে অবিশ্বাস বা ত্যাগ করার সুযোগও নেই, ত্যাগ করলেই হত্যা। [৪]
( বড় হয়ে পরে মনে প্রশ্ন জাগে যে একজন মুসলিম সারাজীবন খারাপ কাজ করেও কিছু শাসন শাস্তি পাওয়ার পর চিরকালের জন্য জান্নাতে যাবে। অথচ একজন অমুসলিম সারাজীবন ভালো কাজ করে এবং মানবতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেও জাহান্নামে জ্বলবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, সারাজীবন খারাপ কাজ করা লোকটা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছে বলেই মুসলিম, অন্যদিকে ভালো লোকটি অমুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছে বলেই সে অমুসলিম। মুসলিম লোকটির কাছে যে কারণে জন্মসূত্রে পাওয়া ধর্মটিই সঠিক মনে হয়েছে, ঠিক একই কারণে অমুসলিম লোকটির কাছেও তার জন্মসূত্রে পাওয়া ধর্মটিই সঠিক মনে হয়েছে। একজন মুসলিম যেমন যাচাই বাছাই ছাড়াই স্বধর্মকে বিশ্বাস করেছে, একজন অমুসলিমও তাই।
আরো জঘন্য একটি বিষয় হলো, একজন মুসলিম পুরুষ যদি একজন হিন্দু বা অমুসলিম মেয়েকে ধর্ষণও করে তবে মুসলিম শাস্তি পেয়ে জান্নাতে যাবে। অন্যদিকে অমুসলিম মেয়েটি ভিক্টিম হওয়া সত্ত্বেও শুধু অমুসলিম হওয়ার কারণে জাহান্নামে যাবে।)
শৈশব থেকেই আমাদের ইসলামের গুণগান, ইসলামের পক্ষে একপাক্ষিক কথাবার্তা এবং গুজব শুনিয়ে ইসলামের পক্ষে বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করা এবং আবেগ সৃষ্টি করা হয়। পাশাপাশি, ভিন্নধর্ম সম্পর্কে একভাইভাবে বদনাম করা হয়।
যেমন : কুরআন অবমাননার কারণে কুকুরের সাদৃশ্য হওয়ার গুজবটি ছবিসহ বই ছাপানো, চাঁদে গিয়ে আযান শোনা এবং ইসলাম গ্রহণ করা এমন অনেক গুজব।
এছাড়াও সাধারণ বিভিন্ন ঘটনাকে (অজ্ঞতাবশত) ইসলামের পক্ষে অলৌকিকতা বলে প্রচার এবং বিশ্বাস করানো হয়। যেমন : প্রকৃতিতে ইসলামের বিভিন্ন সাইন বা আল্লাহ নবীর নাম, কুরআন না পোড়া, ফেরাউনের লাশ সংরক্ষণ, আআগ্নেয়গিরিকে মাটির নিচে জাহান্নাম মনে করা ইত্যাদি।
ক) আমাদের বলা হয় যে দেব দেবী কিছু করতে পারে না, তারা নিজের মূর্তি এবং মন্দিরকেই রক্ষা করতে পারে না।( ইব্রাহিমের মূর্তি ভাঙার ঘটনা স্বগর্বে আমাদের শুনানো হতো। সরাসরি অন্যের জানমালে হামলা করা যে অপরাধ তা ভাবতো না )
অথচ একই যুক্তি ইসলামের ক্ষেত্রে খাটায় না যে কল্পিত আল্লাহ এবং ফেরেশতারাও কিছুই করতে পারে না। যেমন : কুরআন পুড়ে যায় বা পোড়ানো হয়, মসজিদ ভেঙে যায়, এমনকি কাবায় বন্যা [৫] এবং মহামারির [৬] কারণে হজ্জ বন্ধ হয়, কাবায় ৫টি বড় ধরনের হামলা হয় [৭], বিভিন্ন ছোট হামলা এবং বিভিন্ন বিপর্যয় ঘটে, অথচ আল্লাহ কিছুই করতে পারে না। অথচ আলাহ কুরআনে ক্বাবাকে বালাদিল আমিন অর্থাৎ নিরাপদ স্থান বলেছেন।
( ইসলামের পূর্বে আবরাহা কতৃক ক্বাবা আক্রমণে আল্লাহর সাহায্য হিসেবে আবাবিল পাখির রূপকথার গল্পটি সত্য বলে শুনানো হয় যে ক্বাবা যখন ৩৬০ মূর্তি ছিলো এবং মূর্তিপূজা চলতো অর্থাৎ ক্বাবা যখন পৌত্তলিক মন্দির ছিলো তখন আল্লাহ অলৌকিক পাখি পাঠিয়ে সেটাকে রক্ষা করেছিলো। অথচ ইসলামের দখলে এসে ক্বাবা মূর্তিশূন্য হয়ে মসজিদ হওয়ার পর ৫ টি বড়ধরনের হমলা হলো, কাবা তছনছ হলো, হাজার হাজার হাজীকে হত্যা করা হলো, সর্বোচ্চ ১০ বছর হজ্জ বন্ধ ছিলো, তখন আল্লাহর সাহায্য কোন পাওয়া যায় নি। বরং সৌদি বাহিনী না পেরে অমুসলিম ফ্রান্সের বিশেষ ফোর্সের সহায়তা নিয়ে কাবা ঘরকে উদ্ধার করেছিলো।[৭] সন্দেহ জাগে না?
আরো একটি লজ্জাজনক বিষয় হলো একটি হামলাও কোন অমুসলিম করেনি। মুসলিমরা নিজেরাই করেছে।)
খ) কোথাও আগুন লাগলে কোন কুরআনের ভেতরে না পুড়লে অবাক হয়ে সেটাকে কুরআনের অলৌকিকতা হিসেবে বিশ্বাস এবং প্রচার করা হয়। অথচ গীতা, বাইবেল এবং অন্যান্য কোন বই যখন না পুড়ে অক্ষত থাকে সেটা আমাদের দেখানো হয় না এবং সেটাতে অলৌকিকতাও খুঁজে পায় না। তবে ওসব ধর্মের লোকরা ঠিকই অলৌকিকতা খুঁজে পায়। অথচ তারা এটাই জানে না যে অক্সিজেনের অভাবে আগুন জ্বলে না। এটা কোন কেরামতি নয়। বরং ধর্মগুলো এবং সাধারণ অনেক বই যেগুলোর মলাট মোটা বা শক্ত হওয়ার কারণে অনেজ সময় অক্সিজেন প্রবেশ পারে না বলেই ভিতরে পুড়ে না। এটা শুধু ধর্মগ্রন্থ নয়, একই নির্মাণশৈলীর যে কোন গ্রন্থের বেলায় প্রযোজ্য।
গ) প্রকৃতিতে কোন কিছুর মাঝে ইসলাম বা আল্লাহ নবীর নামের সাদৃশ্য পাওয়ার ঘটনাও একই সূত্রে গাঁথা।
তখন সেটাকে ইসলামের পক্ষে অলৌকিকতা বলে প্রচার হয়। অথচ হিন্দু এবং ভিন্নধর্মীরা তাদের ধর্মের সাইন এবং ভগবানের নামের সাদৃশ্য পায় সেটা তারা দেখে না এবং আমাদের দেখায় না।তবে ভিন্নধর্মীরা ঠিকই তাদের অনুসারীদের মাঝে অলৌকিকতা বলে প্রচার করে। আবার প্রকৃতিতে মানুষের নগ্ন শরীরের সাদৃশ্য, লিঙ্গ এবং ওপেন সেক্স এর সাদৃশ্যও পাওয়া যায়। আবার কিন্তু অনেক নোংরা বা খারাপ জিনিসের মধ্যেও যখন ইসলামের কোনকিছুর সাদৃশ্য পাওয়া যায় তখন কিন্তু সেটা প্রচার করা হয় না৷ (এসবেরও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে, কিন্তু তারা একটু কষ্ট করে সেটা জানার চেষ্টা করে না)
ঘ) কেউ ইসলাম গ্রহণ বা গ্রহণের নাটক করলেও তা খুবই প্রচার করা হয়, কিন্তু কেউ ইসলাম ত্যাগ করলে বা অন্যধর্ম গ্রহণ করলে তা প্রচার করা হয় না। এমনকি কেউ ইসলাম ত্যাগ করলে বা ভিন্ন ধর্ম গ্রহণ করলে ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারে না।
ঙ) কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিন্ন সব ধর্ম গ্রন্থকে বিকৃত বলে, আবার কোনরকম যাচাই – বাছাই ছাড়াই কুরআনকে অপরিবর্তিত এবং অবিকৃত গ্রন্থ বলে দাবি করে। ( একই কথা ভিন্ন ধর্মের লোক তার পক্ষে দাবি করলে মানবে না )
অথচ প্রধান কুরআনে হাফেজ এবং নবীকতৃক ভেরিফাইড সাহাবী ( রাসূলের সুপারিশকৃত ৪জন হাফেজের প্রথম জন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, ২য় জন ইবনে উবাই ( যার নাম আল্লাহ কুরআনে এনেছেন), ইবনে আবু বকর, ইবনে ওমরসহ অসংখ্য সাহাবি ওসমানের বিরুদ্ধে কুরআন বিকৃতির অভিযোগ এনেছিলেন।[৮]
একই অভিযোগে এবং বাবা আবু বকরকতৃক লিখিত কুরআন পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে কুরআনে হাফেজ সাহাবী, ইবনে আবু বকর হযরত ওসমানকে হত্যা করেন। [৯]
আবার শিয়া মুসলিমরাও দাবি করে যে ওসমানের ( বর্তমান ) কুরআন বিকৃত।
এমনকি কুরআনের আয়াত সংখ্যা, বিভিন্ন সূরার আয়াত সংখ্যা, কোন সূরা বা কুরআনের অংশ এবং কোন কুরআনের অংশ নয় এসব নিয়েও ছিলো প্রচুর দ্বন্দ্ব এবং এখনও নিশ্চিত নয়। বহু হাফেজে কুরআন ইয়ামামার যুদ্ধে মারা গিয়েছিলো। [১০]
এদিকে আবার ছাগলে আয়াত খেয়ে ফেলে যেটা পরবর্তীতে কুরআনে যুক্ত করা হয়নি কিন্তু প্র্যাকটিস বলবৎ আছে। [১১] আরো সন্দেহজনক বিষয় হলো, হযরত উসমান যেই বিতর্কিত কুরআনের ৪টি কপি রেখে বাকিসব জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন, সেই ৪টির মূলকপিও সংরক্ষিত নেই।অর্থাৎ বর্তমান কুরআনের আদি কপিও নেই। ৪টিই উধাও। তাহলে কিভাবে বিশ্বাস করবেন উসমানের সংকলিত কুরআনটিও অবিকৃত?
শুধু নবীর কুরআনই বিকৃত হয়নি, বরং উসমানের কুরআনও বিকৃত হয়েছে।
অথচ প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বের দার্শনিক প্লেটোর গ্রন্থ The Republic এখনও অবিকৃত এবং প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ানো হয়।
চ) কোনরকম যাচাই বাছাই ছাড়াই বিশ্বাস করানো হয় যে কুরআনে কোন ভুল নেই এবং যাচাই বাছাই ছাড়াই বলা হয় পৃথিবীর সব বই বা গ্রন্থে ভুল আছে।
এরপর যদি কেউ কুরআনের স্পষ্ট ভুল বের করে দেয়া হয়, তখন যেসব ভুল যুক্তি এবং অজুহাত দিয়ে সেটাকে নতুন অর্থ বা ব্যাখ্যা বানিয়ে সঠিক করা হয়, ঠিক একই ভাবে বেদ বা অন্যান্য যে কোন ধর্মগ্রন্থের ভুলকেও যে সঠিক করা যায় তা আমরা ভাবি না। কুরআনে কোন কথাকে যেভাবে বিজ্ঞানের সাথে মিলানো হয় ঠিক একইভাবে যে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থকেও যে বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের চেয়ে বেশি মিলানো হয় তা আমরা জানি না বা মানি না।
অর্থাৎ, ধার্মিকদের সমস্যা হলো তারা যেই যুক্তি অন্যের বেলায় খাটায় সেটা নিজের বেলায় খাটায় না। আবার যেই যুক্তি নিজের বেলায়, সেটা অন্যের বেলায় না। একই যুক্তি যদি দুপক্ষের বেলায় খাটাতো, তবে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেতো। বুঝে যেতো যে বাকিধর্মগুলোর মতো নিজেরটাও ভুয়া।
এসবের কারণ হলো, যেহেতু ধার্মিকরা শৈশব থেকেই যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই বদ্ধভাবে একটি ধর্মে বিশ্বাস করে আসে, ফলে বড় হওয়ার পর তারা সাধারণত নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারে না, বরং ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে বা পক্ষপাতী হয়েই তারা এমন সমস্যাযুক্ত চিন্তা করে থাকে।
তথ্যসূত্র :
১. https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=16918
২. কুরআন ৮:৫৫, ৯৮: ৬
৩.https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=9753
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=65255
৪.https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=36406
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=36407
৫.https://www.dailymotion.com/video/x2r7eqs
৬.https://en.m.wikipedia.org/wiki/Plague_of_Amwas
৭.Kaba attack in 683
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Siege_of_Mecca_(683)
Kaba attack in 692
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Siege_of_Mecca_(692)
Kaba attack in 930
Kaba attack in 1979
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Grand_Mosque_seizure
Kaba attack in 1987
৮.https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=3745
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=38456
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=29521
৯. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ই. ফা.),সপ্তম খন্ড, পৃ. ৩৩২-৩৩৩
১০.https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=56780
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=11655