সুদকে ইসলামে হারাম করেছে। বলছে সুদ হাওয়া আর পায়খানা খাওয়া এক সমান। এখন প্রশ্ন হলো আধুনিক বিশ্বে সুদ ছাড়া চলতে পারবে এমন দেশ ও কি আছে?যদি থাকে তবে কিভাবে? পারবে না! তার মানে তাদের জীবন বিধানের ফাঁক আছে। সুদ হারাম বিষয়টা ও কেমন জানি বেখাপ্পা লাগে। কারন আমরা এখন দেখি বেশির ভাগ মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখে, আর ব্যাংক সুদের ব্যবসা করে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুসিলমরা সুদের সাথে জড়িত।
এখন অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলবেন সুদের হার কমিয়ে দিয়ে এই সেই,আপনার ক্যাসেট বন্ধ করুন। হারাম মানে হারাম। সেটা হোক ১ ভাগ অথবা ৩০ ভাগ। তা না হলে হালাল করে নিন। তাও ভন্ডামী থেকে বাচবেন।
যাকাত হলো আরেকটা ধূর্তামি। যাকাতের মাধ্যমে যদি অর্থনীতি পরিবর্তন হত তবে ইসলামিক দেশগুলো গরীব থাকত। গরীবরা ধনীদের ৫০০ বছর আগে জান্নাতে যাবে, সান্ত্বনা। গরীবদের শোষন করার জন্য এর চেয়ে ভালো কোন টুটকা আছে নাকি। দুনিয়া ডালভাত খাস কি হয়ছে, জান্নাতে ৫০০ বছর আগ থেকে হুর মদ খাবি। নগদ ছেড়ে বাকির লোভ।
**সুদ (রিবা) হারাম সম্পর্কিত কুরআন ও হাদিসের উল্লেখ:**
### কুরআন
কুরআনে সুদকে স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর চর্চা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য আয়াত হলো:
**“আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করেন এবং দানকে বৃদ্ধি করেন।”**
— *সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত ২৭৬*
আরেকটি আয়াতে আল্লাহ বলেছেন:
**“যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিন দন্ডায়মান হবে না, এমনভাবে দন্ডায়মান হবে না যে যেমন দাঁড়ায় সে ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসক্তির মাধ্যমে প্রলুব্ধ করেছে। এটা এই কারণে যে তারা বলে, ‘বেচাকেনা তো সুদের মতোই।’ অথচ আল্লাহ বেচাকেনাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।”**
— *সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত ২৭৫*
### হাদিস
হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুদের বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। একটি হাদিসে বর্ণিত আছে:
**“রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুদগ্রহীতা, সুদদাতা, সুদের লিখক এবং এর সাক্ষীদের ওপর অভিশাপ দিয়েছেন এবং বলেছেন, এদের সবাই সমান অপরাধী।”**
— *মুসলিম শরীফ, হাদিস নম্বর ১৫৯৮*
এখন আপনি ই বলুন প্রতিনিয়ত আপনি সুদের সাথে সম্পর্কিত থেকে কিভাবে নিজেকে একজন সাচ্চা মুসলিম দাবি করবেন। আর যাকাতের মাধ্যমে দেশ পাল্টালে মুসলিম দেশগুলো গরীব থাকত না৷