ইসলামকে গ্লোরিফাই করার জন্য মুসলিমরা যেই মিথ্যাচারগুলো করে থাকে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আইয়্যামে জাহেলিয়া। তারা এটাকে নিয়ে এমনভাবে অপপ্রচার চালায় যেন মনে হয় ইসলাম আসার পূর্বে বুঝি আরবে, এমনকি পৃথিবীতে জ্ঞান বিজ্ঞান বা সভ্যতা বলতে বুঝি ছিলো না। এটা নিয়ে সাধারণত যে ৪ ধরনের অপপ্রচার হয় তা হলো :
১. ইসলামের পূর্বে পুরো পৃথিবী আইয়ামে জাহেলিয়া ছিলো
২. ইসলামের পূর্বে সমগ্র আরবে আইয়ামে জাহেলিয়া ছিলো
৩. ইসলামের পূর্বে আরবে কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো
৪. ইসলামের পূর্বে নারীদের কোন অধিকার ছিলো না
১. ইসলাম এসেছে মাত্র ১৪০০ বছর পূর্বে। অথচ খ্রিষ্টের পূর্বেই গ্রিস, রোম, ব্যবলিন, মিশর এবং ভারতীয় উপমহাদেশে জ্ঞান- বিজ্ঞান এবং সভ্যতার চর্চা ছিলো। কথায় আছে যে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, ঠিক তেমই মুমিনদের দৌড় ১৪০০ বছর পর্যন্ত। তারা ভাবে যে ১৪০০ বছর পূর্ব বুঝি মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান,দর্শন, রাজনীতি এসব সম্পর্কে কিছুই জানতো না। ইসলাম আসার পরই বুঝি মানুষ জানতে পেরেছে। এজন্যই জাকির নায়েক কুরআনের বিভিন্ন আয়াতকে মূল পরিবর্তন বা নতুন নতুন অর্থ তৈরি করে দর্শন এবং বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে বলে যে ১৪০০ বছর পূর্বে এমন তথ্য কে জানতো? অথচ ওই জাকির নায়েক এবং তার অনুসারীরা জানে না যে ১৪০০ বছর পূর্বে তা অনেকেই জানতো। বরং কুরআনে এমন কিছু নেই যা ১৪০০ বছর পূর্বে মানুষ জানতো না বা মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব ছিলো না।
খ্রিষ্টের পূর্বে থেকেই গ্রিসে জ্ঞান বিজ্ঞানের জয়জয়কার ছিলো। বিজ্ঞানের জনক থেলিস, চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস এবং জ্ঞানপিতা সক্রেটিসের জন্মই তো নবী মোহাম্মদের জন্মের বহু পূর্বে। গ্রিসে তখনই দর্শন স্কুল, মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। গ্রিসের দর্শন, পৌরনীতি এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত বইগুলো পরবর্তীতে আরবরা অনুবাদ করে। মুসলিমরা যেই গণতন্ত্রকে ইসলামিক গণতন্ত্র বলে এবং হাদিস লেখার আইডিয়া সেই দুটোই গ্রিকরা বহু আগে বলে এবং করে গিয়েছিলো।
নবী মোহাম্মদের জন্মের বহু পূর্বেই গ্রিকরা শুধু বলেই নি বরং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করে দিয়েছিলো যে পৃথিবী সমতল নয় বরং গোলাকার। আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে গ্রিক বিজ্ঞানী ডেমোক্রিটাস পরমাণুর ধারণা দিয়েছিলো যা অবাক করার মতো এনেক্সাগোরাস বলেছিলেন যে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। পিথাগোরাস যে জ্যামিতি আবিষ্কার করেছিলেন তা এখনও নির্ভুল এবং প্রাসঙ্গিক। সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটলদের কথা নাই বললাম।
এদিকে আমাদের ভারতবর্ষের গণিতবিদ বৌধায়ন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্ট, চিকিৎসা বিজ্ঞানী চরক এবং সুশ্রুত, চাইনিজ বিজ্ঞানী জিং ফ্যাং, এনাদের জন্মও নবী মোহাম্মদের জন্মের বহু পূর্বে। ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানী সুশ্রুতই সর্বপ্রথম অস্ত্রোপচার ও প্লাস্টিক সার্জারির বিষয়ে উল্লেখ করেন তার সুশ্রুত সংহিতা বইতে। উল্লেখ্য যে, চরক এবং সুশ্রুত এর বইগুলো পরবর্তীতে ইবনে সিনা আরবিতে অনুবাদ করেন। কোন ইসলামিক গ্রন্থ নয়,বরং অনৈসলামিক গ্রন্থ থেকেই থেকেই পরবর্তী আরব বিজ্ঞানীরা জ্ঞানের খোরাক জোগান।
২. তাহলে ইসলামের পূর্বে কি সমগ্র আরবে আইয়্যামে জাহেলিয়া ছিলো?
ঐতিহাসিকদের মতে সেটা সমগ্র আরবে নয়, বরং আরবের কিছু অঞ্চলে। তাছাড়া, আমরা ইতিহাস থেকে এমনকি ইসলামী সোর্স থেকেও দেখতে পাই যে ইসলামের পূর্বেই আরবে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা ছিলো। তখনকার আরবের অনেকেই জ্ঞান বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয় তথাপি মানুষের জন্ম রহস্য, মহাকাশ বিদ্যা, সূর্য, চাঁদ, পৃথিবী সম্পর্কে জানতো। এছাড়াও, তৎকালীন আরবে সাহিত্য অনুরাগ এবং সাহিত্যের চর্চা লক্ষণীয়।
আরবের লোকেরা গ্রিক মেডিক্যালে পড়াশোনা করতো এবং গ্রিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী গেইলেন লিখিত বহু বই সিরিয়াক এবং পরবর্তীতে আরবিতে অনূদিত হয়েছিলো যা আরবের লোকজন অধ্যায়ন করে ডাক্তার হতেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ইবনে হুজিম, হারিস ইবনে কালাদাহ, নাদির ইবনে হারিস প্রমুখ। যারা ইসলামের পূর্বেই বিজ্ঞ ডাক্তার ছিলেন।
তাদের মধ্যে হারিস ইবনে কালাদা ছিলেন নবী মোহাম্মদের চাচাতো ভাই। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার এতোই সুখ্যাতি ছিল যে পারস্য সম্রাট খসরু তাকে রাজ দরবারে ডেকে নিয়ে যান। এই যে কুরআনে চিকিৎসা বিজ্ঞানী গেইলেনের ভ্রূণতত্ত্ব হুবহু কপি করেছিলো তা তিনি চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকেই জানতে পেরেছিলেন। খুবই মর্মান্তিক বিষয় হলো, ইবনে হিশাম থেকে আমরা জানতে পারি যে নবী মোহাম্মদ হারিস ইবনে কালাদাহকে মক্কা দখলের পর ইসলাম অবমাননার অভিযোগে হত্যা করেন।
প্রাক ইসলামি সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইমরুল কায়েস। যার কবিতা নকল করে কুরআনে সুরা লেখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ আছে। তাছাড়া কিভাবে ইসলামের পূর্ববর্তী কবিদের কবিতা নকল করে কুরআন লিখা হয়েছিলো সে বিষয়ে মিশরীয় লেখক ত্বহা হুসাইন ১৯২৬ সালে একটি বই লিখেন যার নাম ” On Pre Islamic Poetry। এছাড়াও, আল রাবী , কাব ইবনে আশরাফ, তারাফা ইবনে আল আবদ, আবি সুলমা প্রমুখ উল্লেখযোগ্য কবি ছিলেন। তাদের মধ্যে কবি কাব বিন আশরাফ এবং মহিলা কবি আসমা বিনতে মারওয়ানকে নবী মোহাম্মদ হত্যা করে।
এদিকে তৎকালীন মিশরের কথা নতুন করে কিছু বলার নেই৷ জ্ঞান বিজ্ঞান এবং সভ্যতার অন্যতম আঁধার ছিলো তৎকালীন মিশর। মিশরেই বিশ্বের প্রথম নারী গণিতবিদ এবং দার্শনিক হাইপেশিয়ার জন্ম হয় নবী মোহাম্মদেরও জন্মের পূর্বে।
‘লাইব্রেরি অব আলেক্সআন্দ্রিয়া ‘ যেটি মিশরে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন লাইব্রেরি ছিলো, তা ইসলামি শাসনামলে খলিফা ওমরের নির্দেশে ধ্বংস করা হয়েছিলো বলে বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আল কিফতি তার তারিখুল হুকামা নামক বইয়ে পাওয়া যায়। সুতরাং ইসলামের পূর্বে পুরো আরব অন্ধকারচ্ছন্ন না থাকলেও ইসলামি আগ্রাসনের ফলে ঠিকই অন্ধকারচ্ছন্ন ছিলো দীর্ঘ সময়।
৩. ইসলামের পূর্বে আরবে কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো?
এগুলোর কোন নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক সোর্স নেই। যতটুকু আমরা জানতে পারি সেটাও ইসলামিক সোর্স থেকে। ইসলামী বিভিন্ন সোর্স থেকে আমরা জানতে পারি যে নবী এবং তার সাহাবীরা ১০ – ১৫ টা করেও বিয়ে করতেন এবং তাদের অনেক দাসীও থাকতো। ইসলামের পূর্বে যদি কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো তাহলে তো পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা খুবই কম হওয়ার কথা ছিলো। তখন এক নারীর দশজন পুরুষকে বিয়ে করার কথা ছিলো, তাই নয় কি?তাছাড়া, তৎকালীন আরব বেদুঈনরা সভ্য বিশ্ব থেকে অনেক দূরে বিচ্ছিন্ন গোত্রে বসবাস করত। সুতরাং, তার যদি কন্যা শিশু হত্যার প্র্যাকটিস করতো, তবে তো তারা বিলুপ্তই হয়ে যেতো। (এজন্য ধর্মের নামে কোন কিছু অন্ধভাবে বিশ্বাস করার পূর্বে একটু কমনসেন্স খাটানো উচিত।)
তাহলে ঘটনা মূলত কী ছিলো? ঐতিহাসিকভাবে এমন প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ইসলামিক কিছু সোর্স থেকে জানা যায় যে আসাদ এবং তামিম নামক ২টি গোত্র ছিলো যাদের অন্যান্য গোত্রের সাথে যুদ্ধ চলতো। সেই গোত্রের কিছু পুরুষ তাদের কন্যা সন্তানদের হত্যা করতো এই লজ্জা এবং ভয় থেকে যে তাদের কন্যাদের যুদ্ধ বন্ধিনী দাসী বানানো হবে এবং ধর্ষণ করা হবে। ইসলাম সেই হত্যা ঠিকই নিষিদ্ধ করলো কিন্তু যে কারণে তারা সেটা করতো সেই যুদ্ধ বন্ধিনী ধর্ষণ – গনিমতের মাল হিসেবে ট্রিট করার প্রথাকে উল্টো চর্চা করেছে এবং বৈধতা দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার গোত্রের মধ্যে মাত্র ২টি গোত্রের কিছু পুরুষ এই করতো বলে সেটাকে আমরা কখনো আরবের সাধারণ চিত্র বলতে পারি না।
৪. ইসলামের পূর্বে নারীদের কোন অধিকার ছিলো না?
ইসলামের পূর্বে যে আরবের নারীরা তুলনামূলক স্বাধীন এবং মর্যাদাবান ছিলো তার কিছু উদাহরণ দেখি :
★ খাদিজাতুল কুবরা ছিলেন তৎকালীন আরবের একজন ধন্যাট্য ব্যবসায়ী এবং স্বাবলম্বী স্বাধীন নারী। তিনি কোন পুরুষের সাহায্য ছাড়াই একা চলাফেরা করতেন এবং কাজে সিরিয়া যেতেন। তিনি নিজের পছন্দ করে নবী মোহাম্মদকে বিয়ে করে করুণা করেন এবং বেকার নবী মোহাম্মদের দায়িত্ব নিয়ে কর্মসংস্থান করেন। উল্লেখ্য যে, খাদিজা বেঁচে থাকতে নবী কোন বিয়ে করতে পারেনি এবং কোন দাসীও রাখতে পারেনি যদিও তখন নবী টগবগে যুবক ছিলেন। কিন্তু যেই খাদিজার মৃত্যু হলো, সেই নবীর বহু বিয়ে, বুড়ো বয়সে শিশু বিয়ে, পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে, এবং দাসী সহবাসের ধুম পড়েছিলো।
★ কুরাইশদের মধ্যেই কয়েকজন প্রভাবশালী মহিলা ছিলেন যারা কুরাইশদের নেতৃত্ব দিতেন। তাদের অন্যতম ছিলেন আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ বিনতে উতবা। আবু সুফিয়ানের সঙ্গে ডিভোর্স হবার পর তিনি একা স্বাধীন জীবনযাপন করেছিলেন। এতে প্রমাণ হয় তখনকার নারীদের কতখানি স্বাধীনতা ছিলেন।
★ আসমা বিনতে মারোয়ান ছিলেন তৎকালীন আরবের একজন প্রভাবশালী এবং মর্যাদাবান নারী কবি। এছাড়াও নারী কবিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আফিরা বিনতে আব্বাদ, লায়লা ইবনে লুকাইজ, লুবনা বিনতে হাজার, উম্মে জামিল প্রমুখ।
★ সুলাফা এবং হুব্বা ২জন নারী হওয়া সত্ত্বেও উত্তরাধিকারসূত্রে ক্বাবার চাবি রক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন যা তৎকালীন আরবে খুবই সম্মানী দায়িত্ব ছিলো। অথচ মুসলিমদের ক্বাবা দখলের পর কখনও এমন দায়িত্ব উত্তরাধিকারসূত্রে নারীদের দেয়া হয়নি।
★ পৌত্তলিকদের প্রধান দেবী ছিলেন তিনজন নারী যাদের নাম হল যথাক্রমে আল উজ্জা, আল লাত ও আল মান্নাত । নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তুলনামূলক সমান অধিকারে বিশ্বাসী তারা নারীকে দেবীর আসনে বসিয়েছিলেন। যেখানে আমরা ইসলামে সকল কতৃত্ব, আল্লাহ, ফেরেশতা, নবীরদের বেলায় পুরুষের সদৃশ্য দেখতে পাই। যদিও বলা হয় যে আল্লাহ এবং ফেরেশতাদের লিঙ্গ নেই, কিন্তু তাদের নামগুলো যে পুরুষের নামের সাথে সামঞ্জস্য তা থেকেই এটা স্পষ্টই বুঝা যায় এগুলোর সৃষ্টি পুরুষ কল্পনা থেকেই।
এবার অধিকারের কথা বলি :
ইসলাম পূর্ববর্তী আরবে পুরুষদের মতো নারীরাও একাধিক বিয়ে করতে পারতো, তালাক দিতে পারতো, দাসী রাখতে পারতো, কোন অভিবাবক ছাড়াই নিজ পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করতে পারতো, নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং মাহরুম পুরুষ ছাড়াই চলাফেরা করতে পারতো, নেতৃত্ব দিতে পারতো, নারী পুরুষের অর্ধেক বলে বিবেচনা করা হতো না এবং আরও অনেক অধিকার ছিলো ইসলামী বিশ্বে কল্পনাও করা যায় না। ইসলাম নারীর ক্ষেত্রে এসব অধিকার ঠিকই কেড়ে নিলো কিন্তুু পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু বহালই রাখেনি উদ্বুদ্ধও করেছে। উল্লেখ্য, যে ইসলামে নারী তালাক চাইতে পারে কিন্তু দিতে পারে না, চাওয়া আর দেয়া এক নয়। প্রাক ইসলামি যুগে নারী পুরুষ উভয়ই একে অপরকে মারতো কিন্তুু বৈধতা ছিলো না, অথচ ইসলাম পুরুষকে ঠিকই স্ত্রী পেটানোর বৈধতা দিয়েছে কিন্তুু নারীকে দেয় নি।
ইসলামের পূর্বে নারীদের কোন অধিকার বা মর্যাদা ছিলো না এমনটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিছু কিছু গোত্রে অবশ্যই বৈষম্য ছিলো কিন্তুু সেটা কখনও আরবের সাধারণ চিত্র ছিলো না। ইসলামের চেয়ে তৎকালীন আরবে নারীদের অধিকার বেশি ছিলো। ইতিহাস ও বাস্তবতা বলে ইসলামের পূর্বের নারীরা তুলনামূলক বেশি স্বাধীন, স্বাবলম্বী এবং মর্যাদাবান ছিলো। কিছু গোত্রে নারীরদের অবস্থা নাজুক ছিলো ঠিকই, কিন্তুু সেটা পুরো আরবের চিত্র ছিলো না। কিছু গোত্রের নারীদের দূর্দশা দূর করার নামে ইসলাম সমগ্র আরবের নারীদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। ব্যাপারটা হলো এমন যে কিছু নারীকে ক্ষণস্থায়ী সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়ার নামে বাকি নারীদেরও চিরস্থায়ী কারাগারে বন্ধী করা।
তথ্যসূত্র : //en.m.wikipedia.org/wiki/Science_in_classical_antiquity
https://plato.stanford.edu/entries/anaxagoras
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Planetshine
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Anaxagoras
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Embryology
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Charaka
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Sushruta
Women and Gender in Islam (1992) by Leila Ahmed
Ibn Ishaq : Sirat e Rasulullah
Ali, Asgar (1992). The Rights of Women in Islam. London: C. Hurst and company, London. pp. 21–25.
Musannaf of `Abd al-Razzaq al-Sanani in Ali, 2010
British Archaeological Reports (BAR),Women in Pre-Islamic Arabia by Hatoon AL Fassi
Religion in the Arabian Peninsula by Abkar AlSakaff
Segal, R. (2002). Islam’s Black Slaves: The Other Black Diaspora. New York: Farrar, Straus and Giroux
Hoyland, R. G. (2001) Arabia and the Arabs – from the bronze age to the coming of Islam.
– Forhad H Fahad