প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পেরে ধর্মগুলো মনগড়া, অবাস্তব, প্রমাণহীন এবং মিথ্যা ব্যাখ্যা দেয়।
ইসলামসহ বিভিন্নধর্মগুলো বলে মানুষের পাপাচারের কারণে পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয়।
অথচ বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে পৃথিবী ছাড়া অন্যান্য গ্রহগুলো যেখানে মানুষও থাকে না পাপাচারও হয় না সেসব গ্রহেও ভূমিকম্প হয়।
তাহলে কি ধর্মগুলোর দাবি মিথ্যা এবং অযৌক্তিক হয়ে গেলো না?
অনেক ধার্মিক বলতে পারে যে পৃথিবীতে পাপাচারের কারণে ভূমিকম্প হয় কিন্তু অন্যগ্রহগুলোতে এমনিতে হয়, এটা সম্পূর্ণ হাস্যকর এবং কুযুক্তি তা সহজেই বুঝা যায়।
ভূমিকম্প হওয়ার সাথে মানুষ বা পাপাচারের কোন সম্পর্ক নেই। যদি থাকতো তাহলে চাঁদসহ অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহ -গুলোতে ভূমিকম্প হতো না। এমনকি পৃথিবীতে যখন মানুষ ছিলো না তখনও ভূমিকম্প হতো। এছাড়া, ভূমিকম্প সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট দেশেই সাধারণত হয়ে থাকে বৈজ্ঞানিক কারণে এবং সেগুলোর মধ্যে আয়তনের হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয় মুসলিমপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়াতে।
এবার আসুন আমরা জেনে নিই ভূমিকম্পের প্রকৃত কারণ। আসলে ভূগোল বা ভূপৃষ্ঠের গঠন সম্পর্কে যারা জানে না তারাই ওসব আজগুবি কথাবার্তায় বিশ্বাস করে।
মূলত আমাদের ভূত্বক কিছু টেকটোনিক প্লেট দ্বারা গঠিত এবং এগুলো ভেসে আছে গলিত এবং অর্ধগলিত উত্তপ্ত লাভার উপর। ফলে একটি অপরটির সাথে ধাক্কা খেলে বা বিচ্যুতির হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। এছাড়া, কেন্দ্রভাগের ভীষণ গরম তরল লাভা, গ্যাস থেকে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়। এই শক্তি পৃথিবীর বাইরের দিকে সবসময় চাপ প্রয়োগ করতে থাকে মাঝে মঝে যোরে ধক্কা দেয় । তখন টেকটনিক প্লেটগুলোও নিজেদের মাঝে ধাক্কায় জড়িয়ে পড়ে কখনও মৃদু, কখনও খুবই জোরে। যেহেতু প্লেটগুলো শিলা দ্বারা গঠিত, তাই ধাক্কার ফলে তাদের মাঝে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। এভাবেই ভূমিকম্প হয়।
তথ্যসূত্র :