মুমিনদের সবচেয়ে বড় অজুহাত হলো আল্লাহর পরীক্ষা। কিছু হলেই বা জিজ্ঞেস করলেই আল্লাহর পরীক্ষা বলে চালিয়ে দেয়। এখন আসুন আমরা দেখি আল্লাহকতৃক এই পরীক্ষা নেয়াটা কতটা যৌক্তিক নাকি পরীক্ষা নেয়াটা তাকে বরং প্রশ্নবিদ্ধ করে :
পরীক্ষা নেয়া মানুষের বৈশিষ্ট্য বা দূর্বলতা। কেননা, মানুষ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত জানে না বলেই মানুষের পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজন পড়ে, জানলে পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজন পড়তো না । কিন্তু আল্লাহ যেহেতু ভবিষ্যতে কি হবে তা নিশ্চিত জানেন এবং নির্ধারণ করে রাখেন, তাহলে তার পরীক্ষা নেয়াটাই তো অযৌক্তিক।
তখন তারা ভুল যুক্তি দেয় যে একজন শিক্ষকও জানেন কে কে পাশ করবে এবং A+ পাবে, তাও পরীক্ষা নেন।
১. এক্ষেত্রে আল্লাহকে শিক্ষকের সাথে তুলনা করা ভুল এবং অসম তুলনা। কেননা, একজন শিক্ষক অনুমান করতে পারেন কে কে পাশ করবে বা A+ পাবে, কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। তাছাড়া, কে কত মার্কস পাবে সেটাও বলতে পারবে না। নিশ্চিত জানেন না । তিনি যেটুকু অনুমান করেন সেটাও পূর্বে তাদের কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে তা অনুমান করতে পারেন। তাছাড়া, আল্লাহ শুধু জানেনই না, তিনি জন্মের বহু পূর্বে নির্ধারণও করে রাখেন যে কারা জান্নাতে বা আর কারা জাহান্নামে।
যেমন : নবী বলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করিলেন এবং তাহার পৃষ্ঠে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা মুসেহ করিলেন, অতঃপর আদমের পৃষ্ঠদেশ হইতে তাহার সন্তানদেরকে বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা বেহেশতের কাজ করবে। অতঃপর পুনরায় তাহার পৃষ্ঠদেশে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত বুলাইলেন এবং তাহার আর কিছু সংখ্যক সন্তান বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা দোযখের কাজ করবে। এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহা হইলে আমল করায় লাভ কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহু পাক যখন কোন বান্দাকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাহার দ্বারা বেহেশতীদের কাজ করান আর মৃত্যুর সময়েও সে নেক কাজ করিয়া মৃত্যুবরণ করে, তখন আল্লাহ তা’আলা তাহাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইয়া থাকেন। আর যখন কোন বান্দাকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তাহার দ্বারা দোযখীদের কাজ করাইয়া থাকেন। অতঃপর মৃত্যুর সময়েও তাহাকে খারাপ কাজ করাইয়াই মৃত্যুবরণ করান। আর আল্লাহ তখন তাহাকে দোযখে প্রবেশ করাইয়া থাকেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস লিংক :
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=74557
তাহলে শিক্ষকের অনুমানের সাথে এই তুলনা কিভাবে যায়?
২. ভবিষ্যৎের সববিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত জানা যেহেতু মানুষের বৈশিষ্ট্য নয় , তাই একজন শিক্ষক যদি এমন দাবি করেও যে সে সকল শিক্ষার্থীর প্রত্যেকে কত করে মার্কস পাবে তা নিশ্চিত জানেন তবুও তাকে পরীক্ষা নিতে হবে। কারণ, সে রাষ্ট্র, মিডিয়া এবং জনগণের মুখাপেক্ষী। এদের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে বলে তাকে পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু আল্লাহ তো মানুষের মুখাপেক্ষী নন। মানুষের কাছে তার জবাবদিহি করার প্রশ্নই আসে না। একটি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সরকারকেও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
এবার তারা বলতে পারে যে আল্লাহও তার বান্দার মুখাপেক্ষী এবং জবাবদিহি করতে হবে বা তিনি জবাবদিহি করতে বাধ্য তাই পরীক্ষা নিচ্ছেন। কারণ, পরীক্ষা না নিয়ে ভবিষ্যৎজ্ঞান দিয়ে যদি জান্নাত জাহান্নামে পাঠায় তবে জাহান্নামীরা অভিযোগ করবে।
কিন্তু সুরা ইখলাসে বলা হয়েছে আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন। সুতরাং তাদের জবাব ভুয়া। তাছাড়া, এমনটিই যদি তিনি চাইতেন তবে তিনি এমন পরীক্ষা নিতেন যেখানে মানুষের অভিযোগ করার কোন সুযোগ থাকতো না। এছাড়াও, মানুষ যদি প্রমাণ পায় যে তিনি আগে থেকেই সবকিছু জানেন তবে মানুষ অভিযোগ করবে না, বরং তার কাছে ক্ষমা চাইবে।
এবিষয়ে কিছু সহিহ হাদিস দেখি :
১. আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! মু’মিনদের (নাবালেগ) বাচ্চাদের (জান্নাত-জাহান্নাম সংক্রান্ত ব্যাপারে) কী হুকুম? তিনি উত্তরে বললেন, তারা বাপ-দাদার অনুসারী হবে। আমি বললাম, কোন (নেক) ‘আমল ছাড়াই? তিনি বললেন, আল্লাহ অনেক ভালো জানেন, তারা জীবিত থাকলে কী ‘আমল করতো। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা মুশরিকদের (নাবালেগ) বাচ্চাদের কী হুকুম? তিনি বললেন, তারাও তাদের বাপ-দাদার অনুসারী হবে। (অবাক দৃষ্টিতে) আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন (বদ) ‘আমল ছাড়াই? উত্তরে তিনি বললেন, সে বাচ্চাগুলো বেঁচে থাকলে কী ‘আমল করত, আল্লাহ খুব ভালো জানেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস লিংক : https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=54670
২. ইব্রাহীম ইবন মূসা (রহঃ) ….. আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জীবন্ত প্রথিত কন্যা এবং তার মা- উভয়ই জাহান্নামী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস লিংক : https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=36748
এবার এই হাদিসটি পড়ুন:
আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একদা আদম ও মূসা আপোসে তর্কাতর্কি করলেন; মূসা(আ) বললেন, আপনি পাপ করে আমাদেরকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে বের করে এনেছেন। আদম (সঃ)বললেন, মূসা! তুমি তো নবী ছিলে। তোমাকে আল্লাহ তওরাত দিয়েছিলেন, যে তওরাত আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর পূর্বে লিখেছেন, তাতে কি পেয়েছ যে, ‘আদম অবাধ্য হয়ে ভ্রষ্ট হয়ে গেল?’ মূসা(আ:) বললেন, হ্যাঁ। আদম(আ:) বললেন, তাহলে সেই ভুলের জন্য আমাকে কেন ভৎর্সনা কর, যা আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর আগেই লিখে দিয়েছেন? সুতরাং মূসা(আ:) এ তর্কে হেরে গেলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস লিংক :
https://www.hadithbd.com/hadith/email/?id=27748
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=18826
উল্লেখিত হাদিসগুলো দ্বারা ” পরীক্ষা না নিলে জাহান্নামীরা অভিযোগ করবে তাই পরীক্ষা নিচ্ছেন” এমন দাবি বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে নাস্তিকদের দেয়া যুক্তি দিয়ে নবী আদম মুসার উপর বিজয়ী হয়।
এছাড়াও, সূরা কাহাফ, আয়াত ৭৪- ৮০ তে আমরা দেখতে পাই, আল্লাহ মুসাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য খিজির নামক একজন জ্ঞানী ( অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন) ওলীকে পাঠিয়েছিলেন এবং তিনি একটি বালককে হত্যা করেছিলেন, তখন তিনি মূসাকে বলেন “এই বালককে হত্যা করেছি কারণ সে বড় হয়ে গোমরাহীর পথে যাবে এবং আমি এটি আল্লাহর নির্দেশেই করেছি।” তাহলে একই যুক্তিতে তো মানুষের এতো দুঃখকষ্ট দিয়ে, এতো কাহিনী করে, এতো সময় নষ্ট করে বোকার মতো পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজন ছিলো না, কারণ আল্লাহ তো জানতো যে কারা গোমরাহ হবে, আর কারা হবে না।
আল্লাহ নবী মূসাকে জ্ঞান দিচ্ছেন, অথচ এই বুদ্ধি কি তার ছিলো না? কেন এতো হাঙ্গামা, এতো কাহিনী? আবার আল্লাহ কাউকে পরীক্ষা ছাড়াই জান্নাত দিবেন, আর কেউ পরীক্ষা দিয়েও জান্নাত পাবে না, এটা কিভাবে ন্যায়বিচার বা সুষ্ঠু পরীক্ষা?
তাছাড়া, অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহর মনোনীত ধর্মগুলোর দাওয়াত না পেয়েও মারা গিয়েছে বা মারা যায়, তাহলে তাদের পরীক্ষা কিভাবে হলো? তাদের জন্মটা একদমই উদ্দেশ্যহীন নয়তো তারা আল্লাহর নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এই যে বহু শিশু পঙ্গু হয়ে জন্ম নেয় আর পরীক্ষার বয়স হওয়ার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে এটা কি কোন পরীক্ষা? এখন বলতে পারেন যে নিষ্পাপ শিশুটিকে কষ্ট দেয়ার মাধ্যমে তার পিতামাতার পরীক্ষা নিচ্ছে। পিতামাতার পরীক্ষা নেয়ার জন্য মেধাভিত্তিক বা যৌক্তিক বিষয়বস্তুর কি অভাব পড়ছে যে দুজনের মানুষের পরীক্ষার জন্য একটি নিষ্পাপ শিশুকে বিনা অপরাধে এতো কষ্ট দিতে হবে? অথবা পিতা মাতার পাপের শাস্তি নিরপরাধ সন্তানকে দেয়া কি সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নাকি এসবকিছু আদিম এবং মধ্যযুগীয় অসভ্য বর্বর মানুষের বানানো ধারণা? মনে প্রশ্নে জাগে না?
মুসলিম শিশুরা শিশুবস্থায় মারা গেলে নাকি জান্নাতে যায়। তাহলে তাদের যে বিনা পরীক্ষায় জান্নাতে দিলো এটার মানে কি? তাহলে কি বাকীদের পরীক্ষা নিয়ে তাদের উপর জুলুম করলো না? কাউকে পরীক্ষা ছাড়াই জান্নাত, আবার কেউ পরীক্ষা দিয়েও জাহান্নাম, এসব কোন ন্যায়বিচার বা সঠিক পরীক্ষা?
এসবের পরেও যদি কেউ বলে যে আল্লাহ বান্দার মুখাপেক্ষী এবং জাহান্নামীদের অভিযোগের জবাব দিতে বাধ্য, তাই তিনি পরীক্ষা নিচ্ছেন। জবাবে বলবো, আল্লাহ যদি বান্দার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্যই হয় তাহলে এমন কোন পরীক্ষা নিতেন না যেটাতে মানুষ আরো বেশি অজুহাত দেখাতে পারবে এবং অভিযোগ করতে পারে, তাই না?
যেমন : একটি সুষ্ঠু পরীক্ষার হল বা কেন্দ্রে সবাইকে সমান সুযোগ দেয়া উচিত, অথচ আমরা দুনিয়ার পরীক্ষার হলেও এতটা বৈষম্য এবং দূর্নীতি দেখতে পাই না, যতটা মহান পরীক্ষক যার হাতে নাকি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ, তার পরীক্ষা ব্যবস্থায় দেখতে পাই।
কেউ জন্ম থেকেই কোন পূর্ব যোগ্যতা বা পরীক্ষা ছাড়াই নবী হয়ে গিয়েছে, অনেক মানুষকে হত্যা করেও এবং বিভিন্ন অপরাধ ও ভুল করা সত্ত্বেও তাদের পাপী বলা যাবে না এবং তারা জান্নাতও পাবেন। কাউকে তিনি সাক্ষাৎ বা তার অস্তিত্বের নাকি প্রমাণ দিয়েছেন আবার কারো কাছে একজন নবীও পাঠান নি যিনি সকল প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন। কেউ জন্ম থেকে মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়ার কারণে মুসলিম বলে অনেক অপরাধ এবং মানুষের ক্ষতি করার পরও শেষ বয়সে, মৃত্যুর পূর্বে তওবা করে ক্ষমা পেয়ে যাবে অথবা তওবা না করলেও মুসলিম হিসেবে জান্নাতে যাবে। অন্যদিকে কেউ অমুসলিম পরিবারে জন্ম হওয়ার কারণে সারাজীবন ভালো কাজ করেও জাহান্নামে যাবে।
এছাড়াও, নিধার্মিক বা নাস্তিকদের বিভিন্ন অকাট্য অভিযোগের সম্মুখীনও হতে হবে আল্লাহকে। অসংখ্য অভিযোগ থাকবে যা এখানে বর্ণনা করলে লিখা বড় হয়ে যাবে। নাস্তিক, নিধার্মিক, অমুসলিম এমনকি সহীহ ইসলাম নয় এমন মতাদর্শের অনুসারীদেরও নিজ মতাদর্শকে সঠিক মনে হয় বলেই সে সেটা অনুসরণ করেছে। এমন যদি হতো যে তারা জানে ইসলাম সঠিক বা ইসলামের ভেতর অমুক গ্রুপটি সঠিক তবুও তারা সেটা বিশ্বাস করছে না তাহলে সেটা অপরাধ এবং অন্যায় হতো, কিন্তু যিনি মস্তিষ্ক বানিয়েছেন বলে দাবি করা হয় তার দেয়া মস্তিষ্কই বলছে ওমুক ধর্ম বা মতাদর্শ ঐশ্বরিক নয়। এখানে তাদের এই অবস্থান কি কখনো আল্লাহর বিরুদ্ধে অন্যায় হতে পারে? তিনি যে পরীক্ষা নিবেন সে পরীক্ষার প্রশ্নগুলোই তো স্বচ্ছ এবং একুরেট নয় বরং আপেক্ষিক।
এখন তো শুধু অমুসলিমরাই নয়, এমনকি মুসলিমদের মধ্যেও অনেকে অভিযোগ করবেই। সুতরাং মানুষ যেন অভিযোগ করতে না পারে সেজন্যই যদি পরীক্ষা নিয়ে থাকেন তাহলে পরীক্ষাটা এতটাই বৈষম্যহীন হতো যে মানুষের অভিযোগ করার বা অজুহাত দেখানোর বিন্দুমাত্র সুযোগ এখানে থাকতো না এবং তার পক্ষে সেটা সম্ভব হওয়ারও কথা।
একজন মহান জ্ঞানীর পরীক্ষার বিষয়বস্তুগুলো অবশ্যই সাধারণ মানুষের চেয়েও উন্নত এবং মেধাভিত্তিক হওয়া উচিত, কিন্তু আমরা বরং তার বিপরীতই দেখি। কারণ এসব চরিত্র এবং ধারণা যারা সৃষ্টি করেছিলো তারা ছিলো আদিম এবং মধ্যযুগীয় বর্বর লোকেরা।
এবার আসি পরীক্ষার মান এবং বিষয়বস্তু নিয়ে :
শিশুহত্যা, খুন – ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজগুলো কি একজন মহাজ্ঞানী এবং দয়ালু ইশ্বরের পরিক্ষার বিষয়বস্তু হতে পারে?? ছিঃ! মানুষ যুক্তি-বুদ্ধি-জ্ঞানে অন্যান্য প্রাণী থেকে উন্নত৷ মানুষের তো মেধাভিত্তিক পরীক্ষা নেয়াটাই একটি সভ্য, দয়ালু এবং মহাজ্ঞানী সত্ত্বোর কাজ ছিলো। কিন্তু শিশুধর্ষণ, শিশুহত্যা বা খুন-ধর্ষণের মত জঘন্য কাজের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়াটা একটি অসভ্য বর্বর এবং মূ্র্খ সত্তার পক্ষেই সম্ভব। এমন সত্ত্বা কখনোই মহান, জ্ঞানী এবং দয়ালু হতে পারে না।
ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস এবং আবেগ দিয়ে তাড়িত না হয়ে একটু নিরপেক্ষভাবে যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷